গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনা সাজিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত কিশোরের পরিবারের কাছে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরীর পরিবার ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার কথা বলে ওই চাঁদা দাবী করা হয়।
মো: মুজাহিদ নামে ওই ব্যাক্তি শ্রীপুর উপজেলার গোদারচালা পশ্চিমপাড়া এলাকার জজ মিয়ার ছেলে। সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে কিশোরের বাবার বাড়ির সামনে অনশনে বসিয়ে দেয়। ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল অনুমাণিক ৫টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রামে (৬নং ওয়ার্ড) এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মো: মুজাহিদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেওয়া গ্রামে ভাড়ায় বসবাসকারী এক পরিবারের কিশোরীকে দিয়ে অভিযুক্ত মুজাহিদ তার সহযোগীদের নিয়ে সপ্তাহখানেক আগে কেওয়া গ্রামের এক কিশোরের নামে শ্রীপুর থানায় ধর্ষনের অভিযোগ করায়। এরপর থেকে মুজাহিদের অপর সহযোগীরা কিশোরের পরিবারের লোকদের কাছে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। ঘটনা মীমাংসা ও গণমাধ্যমে সংবাদ না করার জন্য ম্যানেজ করতে ওই টাকা দাবী করে। এতে সম্মত না হলে অভিযুক্ত মুজাহিদ শুক্রবার বিকেলে কিশোরের বাবার বাড়িতে অটো রিক্সাযোগে এক কিশোরীকে নিয়ে এসে অনশনে বসায়। এসময় মুজাহিদ কিশোরের বাবা ও স্বজনদের কাছে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় তাঁর অপর সহযোগীরা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও ধর্ষণের মামলা দিয়ে কিশোর এবং তার পরিবারকে হয়রানির হুমকি দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, এক পর্যায়ে ওই চাঁদা না দিলে কিশোরের বাবার বাড়ির গেটে লাথি গুতোর আঘাতে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে। এসময় এলাকার লোকজন শব্দ শোনে এগিয়ে আসলে মুজাহিদ কিশোরের পরিবারের দুই সদস্যকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় মুজাহিদের সাথে নিয়ে আসা কিশোরীও পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফ এম নাসিম জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর বক্তব্য অনুযায়ী ধর্ষণের ঘটনাটি সাজানো এবং পরিকল্পিত মনে হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা কখন, কোথায় ঘটেছে কখন কিশোরীকে তুলে নেওয়া হয়েছে এসবের কোনো বর্ণণা নাই। তাছাড়া কিশোরের বাড়িতে অভিযুক্ত মুজাহিদের ঘটনা নিয়ে কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মুজাহিদের কাছ থেকেও পাল্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে।