১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ২৭শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ৬ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি| রাত ১:১৬| গ্রীষ্মকাল|

শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হচ্ছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৩,
  • 11 বার

সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা, কর্মচারী, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হচ্ছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইসএ মাঠে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি রাখা হয়। একে একে সবাই শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সকলের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জুমার নামাজ পর্যন্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ এখানে রাখা হবে। জুমার নামাজের পর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পঞ্চম এবং শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর ২টায় সূচনা ভবনের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিইও ডা. মঞ্জুর কাদির।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ পৌঁছে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহুবছর ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এর মধ্যে সোমবার (১০ এপ্রিল) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিণী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়। ১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ