গাজীপুরের শ্রীপুরের আলহাজ্ব নওয়াব আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে একটি দৈনিক পত্রিকায়। সংবাদে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বিএনপি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি মনগড়া, বানোয়াট, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত, সাজানো, এতে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা ১২টায় বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রউফ সরকার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তেব্যে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানান। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত তথ্যে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক লিখিত বক্তব্যে বলেন, একটি চক্র বিদ্যালয় থেকে স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পুরানো ৭টি টিন ৩০ হাজার টাকা বিক্রি, জোর করে স্ট্যাম্পে শিক্ষকগণের স্বাক্ষর নেয়া, শিক্ষকদের মূল সনদ জমা রাখা, প্রভাব খাটিয়ে ভোটার তালিকা করার অসত্য তথ্য দিয়েছেন। যা বিভিন্ন প্রত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে তথ্য মিথ্যা, এতে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন দাবী করেন তাঁর পিতা প্রয়াত মো. শামসুল হক ১৯৬৫ সালে ৩টাকা চাঁদা দিয়ে আওয়ামীলীগের সদস্য পদ লাভ করেন। পারিবারিক ভাবে তিনি আওয়ামী পরিবারের সদস্য। দীর্ঘ ৪০বছর চাকুরী জীবনে আওয়ামী পেশাজীবি সংগঠন এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাথে জড়িত ছিলেন। অবসরে এসে আ’লীগে বিভিন্ন কর্মসূচীতে পৃষ্টপোষকতা সহ আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন। একটি কুচক্রী মহল বিদ্যালয় থেকে স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। চক্রটি মিত্যা ভিত্তিহীন মনগড়া তথ্য দিয়ে বিব্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি চ্যালেন্স ছ’ড়ে বলেন বিএনপি বা কোন অঙ্গ সংগঠনের সাথে তার সম্পৃক্ততার প্রমান কেউ দেখাতে পারবেনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আবদুর রউফ সরকার লিখিত বক্তব্যে জানান, সরকারী বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ পরিচালিত হয়। সভাপতি বা প্রধান শিক্ষকের একক সিদ্বান্তে কোন কিছু করা হয় না। একটি মহল আমাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। অপ-প্রচার চালিয়ে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা সহ বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তাদের জড়িয়ে যে অপ-প্রচার হয়েছে তার প্রতিবাদ করেন। একই সাথে কুচক্রীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, দাতা সদস্যগণসহ সকল শিক্ষক কর্মচারী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।