২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৬ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি| সন্ধ্যা ৬:৪৩| গ্রীষ্মকাল|
শিরোনাম
শ্রীপুরে জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কাপড় বিতরণ ধর্ষণের ঘটনা সাজিয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগ/কিশোরের বাড়িতে কিশোরীকে অনশনে বসানোর চেষ্টা যানজটমুক্ত মহাসড়কে চমক গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাজীপুরে বিএনপি নেতা ডাঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর ঈদ সামগ্রী বিতরণ ত্রিশালের ইউএনও হিসেবে যোগ দিলেন জুয়েল আহমেদ, চাইলেন সকলের সহযোগিতা গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন শ্রীপুর ইউনিটের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গায় আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, সতর্ক করতে মাইকিং বাফুফে সম্পাদক সোহাগকে নিষিদ্ধ করল ফিফা গাজীপুরে থাই এ্যালুমিনিয়াম কারখানায় আগুন ঈদযাত্রায় রেলওয়েকে সহযোগিতা করবে পুলিশ : আইজিপি

প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর “বিএনপিকে কে ভোট দেবে”

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, অক্টোবর ৪, ২০২১,
  • 81 বার

বিএনপিকে কে ভোট দেবে, এমন প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ প্রশ্ন করেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, এত সুবিধা পেয়ে গালিটা আমার উপর দিয়ে বা আওয়ামী লীগের উপর দিয়ে যাবে- এই তো? এটা আমাদের বাঙালির চরিত্রেই আছে। তাদেরকে ভোট দেবে কে আগে সেটা জিজ্ঞাসা করেন। আমি সব সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করি যে কারা কেন? কী কারণে? কোন স্বপ্নে? কী সুখে? কোন আশার আলো দেখে বিএনপিকে বা অন্যদেরকে ভোট দেবে? সেটা আমাকে একটু বলেন, শুনি একটু। জেনে রাখি। আর আমরা কিছু করলাম কি না দেশের জন্য সেটাও একটু তুলনা করেন।

তিনি বলেন, অনেকগুলো নির্বাচন আপনারা নিজেরা দেখেছেন, সেখানে কিন্তু ভোটারদের এই করোনার মধ্যেও যখন নির্বাচনগুলো বন্ধ হলো এবং যখন শুরু হলো তখন কিন্তু কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। গত কয়েকদিন আগে যে ইলেকশনটা হয়ে গেল, আপনারা দেখেছেন যে ভোটাররা কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, আপনারা একটা বিষয় কী চিন্তা করে দেখেছেন যে, অনেক চেষ্টা করা হয়েছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু তাই না নির্বাচন যাতে ঠিকমতো না হয় বা মানুষ যাতে না যায়, অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে এহেনও কাজ নেই যেটা না করা হয়েছে। তারপরও ইলেকশন হয়েছে এবং ইলেকশন হওয়ার পরে একটা স্থিতিশীল পরিবেশ ছিল বলেই কিন্তু আজকে যত উন্নয়নটা দেখতে পাচ্ছেন বা যা করতে পেরেছি সেটা কিন্তু করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন যে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপিসহ যারা কথা বলে আসলে তারা নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্ন তোলে এই দলের জন্মটা কীভাবে? এই দলটি কি কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত? বা এমন কোনো নেতৃত্ব যে নেতৃত্ব বাংলাদেশে কোনো দিনও জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা নিয়ে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে বা কিছু করেছে? তা তো না। অত্যন্ত সুবিধাবাদী এবং বলতে গেলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি করা সংগঠন।

সরকার প্রধান বলেন, যারা এই দলটাকে তৈরি করেছিল তাদের হাতে লালিত-পালিত ছিল। যতদিন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছে ততদিন পর্যন্ত তারা নির্বাচিত হতে পেরেছে। আমি শুধু বিএনপিকে একটা কথাই বলব যে, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তাদের তো কোনো অভিযোগ নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা জিততে পারেনি কেন? তখন প্রশ্ন তোলেনি কেন? এরপরে যতটা নির্বাচন হয়েছে সেখানে মানুষ তো ভোট দিয়েছে। মানুষ ভোট দেয়নি তা তো না।

তিনি বলেন, মানুষের ভোট নিয়ে যত কথা, আমরা আধুনিক প্রযুক্তিতে গেলাম, ইভিএমে ভোট হচ্ছে সেটা নিয়েও প্রশ্ন। এখন এরা যেহেতু সবসময় পরভাতে পালিত, এখন সেই জায়গাটা বোধ হয় তাদের আর নেই। এজেন্সিগুলোর যে সুযোগ নিয়ে তাদেরকে তৈরি করা হয়েছিল সেই এজেন্সিগুলো এখন যেহেতু বিএনপি ক্ষমতায় নেই আর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা তাদের সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা তো সেভাবে তাদেরকে ব্যবহার করি না। আমরা দেশের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করি। তারা জানে যে জিততে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা দল কীভাবে জিতবে? তার নেতৃত্ব কেথায়? একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ অগ্নিসন্ত্রাসের বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে দেশান্তরি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদেরকে নেতৃত্বে রেখেছে, তাহলে জনগণ কোন ভরসায় ওই দলকে ভোট দেবে আমাকে সেটা বুঝিয়ে বলেন। সাধারণত জনগণ কখন ভোট দেয়? তারা তো দেখে যে ক্ষমতায় যাবে কে। যদি এখন এ রকম হয় যে একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী আরেকজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারা তো ইলেকশনও করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ফলাফলটা হচ্ছে যে তাদের ভেতরে যে একটা বিশ্বাস যে ইলেকশনে তারা জিতবে বা ক্ষমতায় যেতে পারবে সেই বিশ্বাসটা তাদের নেই। হারিয়ে গেছে। তারা জানে তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। সম্ভাবনা যখন নেই তখন এটাকে যেভাবেই হোক একটা কন্ট্রোভার্সিয়াল করা। মানুষের ভেতরে একটা বিভেদ সৃষ্টি করা। যেভাবেই হোক মানুষের ক্ষতি করা এটাই তো চেষ্টা। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা যেটা অব্যাহত আছে। ২০০১-এ বিএনপি ক্ষমতায় এলো সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলাভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সারা বাংলাদেশে গ্রেনেড হামলা- এই সব নানা কারণে দেখা গেল সেখানে কী অবস্থা ছিল তখন।

এ সময় কিছু ছবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখেন তখন কী অবস্থা মানুষের, আতঙ্কে মানুষ। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। বলতে গেলে ১ অক্টোবর থেকে যে অত্যাচার শুরু হলো। যেভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী মানুষকে অত্যাচার করেছে সেভাবে ধর্ষণ করা, মানুষকে হত্যা করা। সেখানে কেউ সাহস করে মামলা করবে? একমাত্র পূর্ণিমা সাহস করে মামলা করেছিল বলে এলাকা থেকে চলে যেতে হলো। প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ মারা হলো। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কেউ তো বাদ যায়নি বিএনপির অত্যাচারের হাত থেকে। তাদের এই সব অপকর্মের ফলে কী অবস্থা দাঁড়ালো? তারপরে দুর্নীতি। বাংলাদেশ পাঁচ, পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। যার ফলে ইমার্জেন্সি এলো।

তিনি বলেন, অত্যাচারিত আমি হলাম বেশি। প্রথমবার তো আমাকেই গ্রেফতার করা হলো। তারপর ২০০৮ এ নির্বাচনে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিল। কেন ভোট দিল? ৯৬ থেকে ২০০১ সালে অন্ততপক্ষে জনগণ এটুকু পেয়েছিল যে, সরকার মানে জনগণের সেবক। কিছু হলেও উন্নতি হয় দেশের, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।

সরকার প্রধান বলেন, ২০০৮-এ আমরা ঘোষণা দিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। তখনো কত ব্যঙ্গ করা হলো এই কথা নিয়ে। আজকে কি ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়নি? বরং আমাদের এখানে তো আরও চমৎকার সিস্টেম। আমি তো আমেরিকাতেও এ রকম ভিডিও কনফারেন্সিং করলাম। আমি তো দেখি সেখানে থেকে আমাদের এখানে অনেক সুন্দর ব্যবস্থা। আমি তো একসঙ্গে সারা বাংলাদেশে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে পারি। করোনা যখন হয়েছে তখন আমি সেটা করেছি প্রত্যেকটা জেলায় জেলায়।

তিনি বলেন, তাদেরকে (বিএনপি) ভোট দেবে কেন এই প্রশ্নটা করেন না। জনগণ ভোট দিচ্ছে না বা ভোট দিতে পারছে না এই প্রশ্নগুলো যখন আপনারা করেন। আপনার কে আছে এর বাইরে? কাকে দেবে? কার কাছ থেকে মানুষ এ পর্যন্ত কী পেয়েছে? পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। পঁচাত্তর থেকে ৯৬, আর ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ধরেন মানুষ কী পেয়েছে? সেই তুলনাটা করেন আপনারা। তারপরও বিবেচনা করেন। আমার কাছে তো আর ক্ষমতাটা ভোগের বস্তুও না, শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ক্ষমতা না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ