স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যেখানে (হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান) অনিয়ম ও দুর্নীতি হবে সেখানে স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র– দুই মন্ত্রণালয় আলোচনা সাপেক্ষে আইনগতভাবে যা যা করা দরকার সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এককভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোথাও যাবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবে। প্রয়োজনে তাদের নিয়ে সেখানে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, অভিযান বন্ধ হয়েছে এটা ঠিক নয়। এটা অভিযান কেন? হাসপাতালে অভিযান হবে না, ইনকোয়ারি (অনুসন্ধান) হবে। অভিযান তো হয় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টসে (পার্বত্যাঞ্চল), যেখানে সন্ত্রাসীরা থাকে।
রোববার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর হার এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে। একটি ল্যাবরেটরির বদলে ৮০টি ল্যাবরেটরিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। কিটের কোনো সংকট নেই।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় আহ্বান করছি, আপনারা টেস্ট করতে আসুন। বন্যাজনিত ও নমুনা পরীক্ষা করতে মানুষের অনীহার কারণে টেস্টের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
জাহিদ মালেক বলন, বাসায় বসে রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন বিধায় পরীক্ষা করাতে আসছেন না। করোনা মোকাবিলায় মানুষের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, মৃত্যুর হারটা ধীরে ধীরে কমে এসেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার পাশাপাশি টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সারাদেশের রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। প্রায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক প্রতিদিন হাজার হাজার রোগীকে বাসায় থেকে করোনা চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। জেলা ও উপজেলা পর্য়ায়ে বাড়ি বাড়ি ওষুধ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ৯০ শতাংশ রোগী বাসায় চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। মুমূর্ষু না হলে হাসপাতালে আসছে না। ফলে হাসপাতালে ৬০ শতাংশ বেড ফাঁকা থাকছে। ফলে আক্রান্ত ও রোগীর সংখ্যা কমে গেছে।