প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি লিখেছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সসহ (আরএসএফ) দেশ-বিদেশের পাঁচটি সংগঠন। চিঠিতে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিন দফা আহ্বান জানায় তারা।
আরএসএফের সঙ্গে খোলা চিঠি দেয়া বাকি চার সংগঠন হলো– কার্টুনিস্ট রাইটস নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল (সিআরএনআই), ফোরাম ফর ফ্রিডম এক্সপ্রেশন (মুক্ত প্রকাশ), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং কার্টুনিস্ট ফর পিস (সিএফপি)।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি লিখেছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সসহ (আরএসএফ) দেশ-বিদেশের পাঁচটি সংগঠন। চিঠিতে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিন দফা আহ্বান জানায় তারা।
আরএসএফের সঙ্গে খোলা চিঠি দেয়া বাকি চার সংগঠন হলো– কার্টুনিস্ট রাইটস নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল (সিআরএনআই), ফোরাম ফর ফ্রিডম এক্সপ্রেশন (মুক্ত প্রকাশ), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং কার্টুনিস্ট ফর পিস (সিএফপি)।
এই আইনে গ্রেফতার হওয়া বেশিরভাগ সাংবাদিক শুধু এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন, যা স্থানীয় রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে গেছে।
বাংলাদেশে লকডাউন শুরুর পর অন্তত ১৩ জন সাংবাদিক পরিকল্পিত সহিংসতার শিকার হয়েছেন। কয়েকটি ঘটনায় গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গত ১ এপ্রিল শাহ সুলতান আহমদ নামের এক সাংবাদিককে লোহার রড দিয়ে এমনইভাবে বেধড়ক পেটানো হয়। মহামারিতে সরকারের পাঠানো জরুরি খাদ্য সহায়তা বিতরণে অনিয়মের খবর প্রকাশের জেরে স্থানীয় এক রাজনীতিক প্রতিশোধ নিতে মারধরের নির্দেশ দেয়ায় ঘটনাটি আরও ভয়ংকর রূপ নেয়।
আরএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মানবিক ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের কারণে আরও ছয় সাংবাদিক একই ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
জাতিসংঘ যে সময়টিকে ‘ভুল তথ্যের মহামারি’ আখ্যা দিয়েছে, ঠিক সেই সময়টিতে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা নাগরিকদের নির্ভরযোগ্য ও স্বাধীনভাবে তৈরি প্রতিবেদনের তথ্য জানাতে সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে এভাবে সাংবাদিকদের হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হওয়া মোটেও সহ্য করার নয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার গ্যারান্টি দেয়া এবং শারীরিক বা বিচারিক প্রতিহিংসার ভয়ভীতি ছাড়াই যেন সংবাদকর্মীরা কাজ করতে পারেন তা নিশ্চিত করা আপনার সরকারের কর্তব্য।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুরক্ষায় সক্রিয় আমরা পাঁচ বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক সংগঠন আপনি ও আপনার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই-
এসব লক্ষ্য অর্জনে সরকারের সঙ্গে সংলাপ শুরুর করতে আমরা প্রস্তুত আছি।”